আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:০৩
কবিরও অস্তিত্ব আছে
তাছাদ্দুক হোসেন

তাছাদ্দুক হোসেন
কবিরও তো গেরস্থালী ঘর রয়েছে
তারও তো রোজ থলে হাতে বাজার ছুটতে হয়
সারারাতের ঘুমের শেষে
তারওতো ঠিক জেগে উঠতে হয়।
বাসি পচা আনাজ কিনে
পচে যাওয়া মৎস কিনে
মুখটি বুঁজে বউয়ের ঝাড়ি ঝামটা গিলতে হয়
তারও আছে রাগের শরীর
রেগে আবার রাগের শেষে
তারই সাথে আপোস করে ভীষণ মিলতে হয়।
কবি কোনও বায়বীয় অতি মানব নয়
সাধারণের মতই যে তার চলা ফেরা
এগিয়ে চলা পিছিয়ে পড়া
ঘুমিয়ে পড়া নেতিয়ে পড়া
চিৎকারে হাত উদ্ধত হয়
মনে ভীষণ ভয়
কবিওতো অগ্নিতাপে মোমপোড়ানো
মোম হয়ে ক্ষয় হয়।
কবির কাঁধে ঋণের বোঝা
ঋণের ভারে ক্যুঁজো হয়ে চলতে ফিরতে হয়
বাজপাখিকে এড়িয়ে চলা
সর্প দেখে শিউরে উঠা
বুনো হাতির তাড়া খেয়ে
লোকালয়ে বসত ঘরে ফিরে আসতে হয়।
কবিওতো প্রেমিক পুরুষ
নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে
কারোর দুহাত হাতের মুঠোয় নিতে তো তার ইচ্ছে হতেই পারে
বুকেতে যে ঠাণ্ডা শীতল হিমপ্রবাহ সেওতো গরম উষ্ণ হবার মন্ত্র শিখতে চায়
তারে কেন ফিরিয়ে দিতে চাও হে প্রমিক
অগোছালো বাউণ্ডুলে সেই কবিকে একটু ছোঁয়ে দেখো...
তাকে পাঠ করে তো দেখো...
কবিওতো মানুষ, না কি! কাটলে শরীর রক্ত ঝরে
চিকিৎসাহীন অযত্নে সেই ক্ষতস্থানে পচন ধরে
ভালোবাসার আদর ছাড়া ফুসফুসে এক
মরণঘাতি মরণ ঘুরে সারাজীবন ভর
কবিরও তো গলা ছেড়ে ইচ্ছে করে গাইতে কোনো
গোলাপ দিনের গান
সবটা আকাশ বুকে পুরে ঝাঁপ দিতে দাও
আগুন সুবাস মরণ সুবাস ছড়িয়ে দেয়া
বিশাল ফুলের বনে...
ঝলসে যাওয়া দগ্ধ হওয়া কবির অনুভবে
একটুখানি প্রলেপ লাগাও বিচিত্র উৎসবে।